ডিম পুষ্টির অন্যতম শক্তিশালী উৎস

দৈনিক পুঁজিবাজার: ডিম আমাদের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের অন্যতম উৎস। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন ও কুসুমে কোলেস্টেরল, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং ভিটামিন বি থাকে। তবে, কোনটি বেশি উপকারী সাদা অংশ নাকি কুসুম? চলুন জানি এর পুষ্টিগুণ।
ক্যালরি
ডিমের সাদা অংশে ক্যালরি কম (১৭ ক্যালরি), যেখানে কুসুমে ক্যালরি বেশি (৫৫ ক্যালরি)। যারা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করেন, তাদের জন্য সাদা অংশ ভালো বিকল্প।
আমিষ (প্রোটিন)
ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন বেশি। এটি শরীরের পেশি গঠন, ক্লান্তি দূর করা এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
চর্বি ও ফ্যাটি অ্যাসিড
সাদা অংশে ফ্যাট না থাকলেও, কুসুমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও কোলিন থাকে। কোলিন কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কোলেস্টেরল
ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল বেশি। তবে কোলেস্টেরল শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হার্টের ঝুঁকি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ভিটামিন
ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন বি৬, বি১২, এ, ডি এবং ই। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য উপকারী। অন্যদিকে সাদা অংশেও কিছু বি ভিটামিন এবং উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে।
খনিজ পদার্থ
- কুসুমে: ৯৩% আয়রন ও ৯০% ক্যালসিয়াম। দাঁত ও হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- সাদা অংশে: পটাশিয়াম, যা হার্ট ভালো রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
সতর্কতা
যাদের কোলেস্টেরল বা স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কুসুম খাবেন।
ডিম সবসময় সেদ্ধ বা পোচ করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি শরীরের জন্য অধিক উপকারী।
সুতরাং, ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম উভয়েরই পুষ্টিগুণ রয়েছে। আপনার শারীরিক অবস্থা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক অংশ বেছে নিন।