এবিসি জুস: স্বাস্থ্যরক্ষার জাদুকরি পানীয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদদের কাছে একটি পানীয়র নাম এখন বেশ জনপ্রিয়, আর তা হলো এবিসি জুস। আপেল (Apple), বিটরুট (Beetroot), এবং গাজর (Carrot) একত্রে ব্লেন্ড করে তৈরি এই জুস পেটের সুস্থতা থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন পর্যন্ত বিভিন্ন উপকারে আসে। নিয়মিত এই পানীয় গ্রহণ করলে আপনি পাবেন নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা।
কীভাবে তৈরি করবেন এবিসি জুস?
এই জুস তৈরির পদ্ধতি খুবই সহজ। একটি আপেল, একটি বিটরুট, এবং একটি গাজর নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ড করুন। চাইলে একটু পানি ও লেবুর রস মিশিয়ে স্বাদ আরও বাড়ানো যায়। প্রতিদিন এক গ্লাস এবিসি জুস পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
এবিসি জুসের উপকারিতা
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমতে থাকে। ব্রণ, দাগছোপ ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দেয়। এবিসি জুসে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের টিস্যু মেরামত করে। পাশাপাশি বিটরুট রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকে আনে প্রাকৃতিক গোলাপি আভা। - এনার্জি বাড়ায়
শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা কাটাতে এবিসি জুস প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। জিমে যাওয়ার আগে বা ব্রেকফাস্টের সঙ্গে এক গ্লাস জুস আপনাকে দিনভর কর্মক্ষম রাখবে। - ওজন কমাতে সহায়ক
কম ক্যালোরির এই পানীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ফলে ক্ষুধা কমে, ওজনও সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসে। - হার্টের যত্ন নেয়
এবিসি জুস কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। নিয়মিত পান করলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং ব্লকেজের ঝুঁকি কমে যায়। - প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয়
এই পানীয় লিভার থেকে টক্সিন দূর করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান করে। ডিটক্স ওয়াটারের পরিবর্তে এবিসি জুস একটি চমৎকার বিকল্প।
সতর্কতা
অতিরিক্ত পান না করে দিনে এক গ্লাস জুসই যথেষ্ট। ডায়াবেটিস বা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পান করা উচিত।
আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এবিসি জুস যোগ করে দেখুন কীভাবে এটি আপনার শরীর ও মন দুটোকেই সতেজ রাখে।