প্রশাসন ও পুলিশের সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে নয়- এনসিপি

সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মধ্যরাতের বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য যেই প্রশাসন ও পুলিশ ব্যবহৃত হয়েছে, সেই কাঠামোর সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন অংশগ্রহণ অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে পঞ্চগড়ের চৌরঙ্গী শেরেবাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা। এই পথসভা ছিল দলটির ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’র তৃতীয় দিনের অংশ।
পথসভায় বক্তব্যে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যেই প্রশাসন ও পুলিশ ব্যবহার করে মধ্যরাতের ভোট করানো হয়েছে, সেই ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে না। এনসিপি নির্বাচনে যেতে চায়, তবে সেটা হতে হবে সংস্কারের পর নির্বাচন। এর আগে গণপরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”
অপরদিকে, এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভারতের ‘পুশ-ইন’ নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “ভারত সীমান্ত দিয়ে যেভাবে পুশ-ইন চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠিয়ে এভাবে সীমান্তে আগ্রাসন চালানো হচ্ছে—এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য চরম লজ্জার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে কারা চাঁদাবাজি করছে, দুর্নীতিতে জড়িত—তা জনগণ জানে। জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশেরই নাগরিক, তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারা ও আব্দুল হান্নান মাসাউদ।
এর আগে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ নীলফামারী জেলা থেকে যাত্রা শুরু করে দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলা অতিক্রম করে পঞ্চগড়ে পৌঁছালে হাজারো মানুষ তাদের শ্লোগান ও করতালিতে স্বাগত জানায়।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে এনসিপি রাজনৈতিক সংস্কার, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশজুড়ে গণআন্দোলনের বার্তা দিতে চায় বলে জানান দলের নেতারা।