বৃষ্টির প্রভাবে কমেছে সরবরাহ, রাজধানীতে সবজি ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে

পুঁজিবাজার প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত ও পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্নের কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে ফের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি ও পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় দেশি পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) নিউমার্কেট, রায়েরবাজার ও আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, যেখানে গত সপ্তাহে এটি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বাজারে বর্তমানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, করলা ৮০, দেশি গাজর ১২০, টমেটো ১২০, শশা ১০০, বরবটি ৮০, ঢেঁড়শ ৫০, কাঁকরোল ৭০ ও কচুরমুখী ৬০ টাকা কেজি দরে।
একইসঙ্গে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামেও রয়েছে ভিন্নতা। আলু এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা, দেশি আদা ১৩০-১৫০ টাকা ও রসুন ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চালসহ অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মাছের বাজারেও দেখা গেছে বাড়তি দাম। চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০, চাষের পাঙাস ১৯০-২০০, দেশি শিং ৫০০-৬০০, পাবদা ৫৫০-৬০০ এবং বড় আকারের চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে। ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মুরগির বাজারেও দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৭০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা এবং ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, “সবকিছুর দামই একটু একটু করে বাড়ছে। বিশেষ করে শসার দাম গত সপ্তাহে ৭০ টাকা ছিল, এখন ১০০ টাকা দিতে হয়েছে। সরকারের উচিত বাজার তদারকি আরও জোরদার করা।”
রায়েরবাজারের মুদি ব্যবসায়ী রাজিব সিকদার জানান, “বৃষ্টির কারণে পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় অনেক পণ্য ঠিকভাবে বাজারে আসছে না। ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ ও সবজিতে এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে।”
সব মিলিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দামে উর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।