হোম লাইব্রেরী,লেখিকা: প্রিয়াংকা নিয়োগী,ভারত

প্রিয়াঙ্কা নিয়োগী : প্রাচীনকালে গ্রন্থাগার রাজাদের আভিজাত্য ছিলো ।
তবে যুগ পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তনের ধারা বয়ে শিক্ষার্থী ও পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি গ্রন্থাগারের চাহিদা । গ্রন্থাগার বর্তমানে বিদ্যালয়,কলেজ, ইউনিভার্সিটি পাবলিক লাইব্রেরী,গ্রায়ীন লাইব্রেরী ইত্যাদি থাকলেও পরিবার কেন্দ্রীক গ্রন্থাগার তেমন নেই বললেই চলে।2025 এ দাঁড়িয়েও পরিবারকেন্দ্রীক গ্রন্থাগার গড়ে ওঠেনি সেভাবে।।
গ্রন্থাগারের সংজ্ঞা: গ্রন্থাগার হোলো সেই কক্ষ যেখানে শুধুই পাঠ্যবই বা বিষয়বস্তুর বই থাকেনা, বরং বিভিন্ন তথ্যের বিষয় যা বই বা পত্রিকা আকারে আছে তা সব রাখতে পারে,আবার প্রজেক্টের বিষয়গুলো রাখতে পারে।বর্তমানে গ্রন্থাগার কক্ষে কম্পিউটার রাখা হয়।
গ্রন্থাগার ম্যানেজ:গ্রন্থাগার ম্যানেজের জন্য গ্রন্থাগার নিয়ম আছে।একেক জায়গার গ্রন্থাগার একেকরকম।
তাই ছোটো গ্রন্থাগার ম্যানুয়েল ম্যানেজ নিয়ম অনুযায়ী করা গেলেও বৃহৎ গ্রন্থাগারের ক্ষেত্রে বর্তমানে কম্পিউটার ও প্রযুক্তি বিদ্যার প্রভাব পড়েছে।তাই গ্রন্থাগার ডিজিটাল গ্রন্থাগার হয়েছে। গ্রন্থাগার সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়।তবে গ্রন্থাগারের জনক রঙ্গোনাথনের পাঁচটি সূত্র অবশ্যই লক্ষ্য করা হয়।তবে বই সাজানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয় অনুযায়ী বিয়ের শ্রেণীবিভাগ ও বই রাখতে হবে।
হোম লাইব্রেরী:হোম লাইব্রেরীর উদ্ভাবক ড.প্রিয়াংকা নিয়োগী।বার বাড়ি ভারতের কোচবিহার পুন্ডিবাড়ীতে।
তিনি শান্তি প্রচার করার উদ্দেশ্যে ও ঘরোয়া শান্তি বজায় রাখার জন্য Home library এর কথা ভাবেন।
প্রসঙ্গত তিনি পেশায় একজন গ্রন্থাগারিক। একজন গ্রন্থাগারিক হওয়ার সুবাদে তিনি বইকে ভালো করে উপলব্ধি করতে পারেন।বিয়ে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি ও মনে শান্ত প্রফুল্ল রাখে এই ভাবনার তার মনে আসে।তাই তিনি নিজের বাড়িতে আনুমানিক পাঁচশোর কাছে বই দিয়ে একটি গ্রন্থাগার বাড়িতে তৈরী করে সেখানে লিখে দেন Home library.তারপর জনগণের উদ্দেশ্যে ফেসবুকের পোস্ট করেন,যাতে প্রতিটি পরিবার হোম লাইব্রেরী তৈরী করে। তিনি এও বলেন Home library তৈরীর জন্য অনেক বইয়ের প্রয়োজন নেই।মাত্র দুটো বা চারটি বই,পঞ্জিকা,পত্রিকা, ম্যাগাজিন, জার্নাল,পিরিওডিক্যাল,খবরের পত্রিকা বা তথ্যের যে কোনো কিছুই যা বই আকারে বা পত্রিকা আকারে বা যেকোনো ভাবে থাকলেও তার দিয়ে হোম লাইব্রেরী তৈরী করা যাবে।
Home library এর উপকারিতা সম্পর্কে ড.প্রিয়াংকা নিয়োগী বলেন Home Library যেমন বাড়িতে গাম্ভীর্য ও শিক্ষণীয় মহলের স্বাদ তৈরী করাবে তেমনি বাড়ির শান্তির ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।এছাড়াও ড.নিয়োগী বলেন প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন অন্তত একপাতা বই পড়া উচিৎ।যে মানুষের যত বিয়ের স্বাদ,
সেই মানুষের তত জীবন আনন্দের।তাই প্রত্যেক পরিবারে Home Library থাকা অত্যন্ত জরুরী।
______________