রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনাম:
সংবিধান বদলের অধিকার কারো নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক উত্থান-পতনের মিশ্র প্রবণতায় শেষ হলো বিদায়ী সপ্তাহের শেয়ারবাজার লেনদেন এনভয় টেক্সটাইলসকে এডিবির ৩০ মিলিয়ন ডলারের সাসটেইনেবল-লিঙ্কড ঋণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, উত্তাল সাগর কোম্পানীগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের চারজন দগ্ধ ইসলাম সহজ-সরল জীবনযাপনের শিক্ষা দেয় গাজামুখী মানবিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্সের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত

সর্বশেষ আপডেট:

প্রকাশ: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান হলো তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন—এ কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংকট নিরসনে সাত দফা পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গণহত্যা শুরুর আট বছর পরও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থায়নও মারাত্মক ঘাটতিতে ভুগছে। অর্থায়ন কমে আসছে, তাই একমাত্র শান্তিপূর্ণ পথ হচ্ছে তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা।”

তিনি উল্লেখ করেন, “রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে, সমাধানও সেখানেই নিহিত।” এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করে সহিংসতা বন্ধ ও দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে বলে তিনি মত দেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ সংকটের শিকার। আমাদের সামাজিক, পরিবেশগত ও আর্থিকভাবে বিপুল চাপ সহ্য করতে হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মাদক পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলছে। উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ যেমন বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের কারণে দেশে রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।”

সাত দফা প্রস্তাব:

১. রাখাইন অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ প্রণয়ন।
২. মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির ওপর চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধ এবং সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু।
৩. রাখাইনে স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সহায়তা জোগাড় ও তা পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক বেসামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
৪. রোহিঙ্গাদের রাখাইন সমাজ ও শাসন ব্যবস্থায় স্থায়ী অন্তর্ভুক্তির জন্য আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনায় অর্থদাতাদের পূর্ণ সহায়তা নিশ্চিত করা।
৬. জবাবদিহি ও পুনর্বাসনমূলক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
৭. মাদক অর্থনীতি ভেঙে দেওয়া এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন।

তিনি বলেন, “বিশ্ব আর রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফেরার জন্য অপেক্ষায় রাখার সামর্থ্য রাখে না। আজ আমাদের সংকট সমাধানে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করতে হবে। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সোয়েব মজুমদার

মোবাইল: +৮৮০ ১৭২৬ ২০২৮৩১

উপদেষ্টা: আলহাজ্জ লায়ন খান আকতারুজ্জামান এমজেএফ

ঠিকানা : ১০৯, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কাকরাইল, ঢাকা- ১০০০।

ফোনঃ +৮৮০ ১৭২৬২০২৮৩১

ই-মেইল: dainikpujibazar@gmail.com

google.com, pub-1579532791932600, DIRECT, f08c47fec0942fa0