রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২ অপরাহ্ন | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনাম:
সংবিধান বদলের অধিকার কারো নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক উত্থান-পতনের মিশ্র প্রবণতায় শেষ হলো বিদায়ী সপ্তাহের শেয়ারবাজার লেনদেন এনভয় টেক্সটাইলসকে এডিবির ৩০ মিলিয়ন ডলারের সাসটেইনেবল-লিঙ্কড ঋণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, উত্তাল সাগর কোম্পানীগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের চারজন দগ্ধ ইসলাম সহজ-সরল জীবনযাপনের শিক্ষা দেয় গাজামুখী মানবিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্সের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত

সর্বশেষ আপডেট:

প্রকাশ: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে ভালোভাবে ঘুমাতে পারেননি: স্যাম অল্টম্যান

ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে তিনি এক রাতও ভালোভাবে ঘুমাতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন উপস্থাপক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অল্টম্যান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এই প্রযুক্তির ক্ষুদ্র পরিবর্তনগুলোও বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে—এ চিন্তাই তাঁকে রাতে জাগিয়ে রাখে।

প্রথমে সতর্ক মন্তব্য করলেও আধা ঘণ্টা পর খোলাখুলি বলেন অল্টম্যান, “চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনি।” তাঁর উদ্বেগ কোনো ‘টারমিনেটর’-ধাঁচের রোবট নয়, বরং প্রতিদিন ওপেনএআই দল যে নীতিগত ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নেয়—কোন প্রশ্নে উত্তর দেবে, কোনটাতে বিরত থাকবে, কোথায় সতর্ক করবে—এসব সিদ্ধান্তের গভীর প্রভাব তাঁকে ভাবায়।

অল্টম্যান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। যদি ব্যবহারকারীদের অল্প অংশও মানসিক সংকটে থাকেন, তবে প্রতি সপ্তাহে হাজারো মানুষ আত্মহত্যার আগে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলছেন—এ সম্ভাবনাই তাঁকে তাড়িত করছে। সম্প্রতি এক কিশোর আত্মহত্যা করলে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়, যা অল্টম্যানকে আরও বিচলিত করেছে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালুর বিষয়টি বিবেচনায় আছে, যদিও এতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

এআই-নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার ভারসাম্য নিয়ে অল্টম্যান বলেন, “প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেই দেখতে হবে। তবে কিছু সীমারেখা স্পষ্ট হওয়া জরুরি, যেমন—চ্যাটজিপিটি কখনোই জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করবে না।”

তিনি আরও জানান, চ্যাটজিপিটির নীতিগত কাঠামো মানবতার সম্মিলিত মূল্যবোধ প্রতিফলন করে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দায়ভার তাঁর ওপরেই বর্তায়। “এসব সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে জবাবদিহি করতে হবে,” বলেন অল্টম্যান।

কার্লসনের প্রশ্নের জবাবে অল্টম্যান স্বীকার করেন, এআই একসময় করপোরেট গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে পারে ভেবেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি দেখছেন, চ্যাটজিপিটি কোটি মানুষের সৃজনশীলতা বাড়িয়েছে ও সহায়ক ভূমিকা রাখছে। যদিও ভবিষ্যতের ঝুঁকি অস্বীকার করা যায় না।

অল্টম্যান মজা করে বলেন, চ্যাটজিপিটির লেখার ছন্দ এমনকি মানুষের লেখালেখিতেও ঢুকে পড়ছে। তাঁর মতে, এ ধরনের সূক্ষ্ম কিন্তু গভীর পরিবর্তনই তাঁকে প্রতিনিয়ত ভাবায়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সোয়েব মজুমদার

মোবাইল: +৮৮০ ১৭২৬ ২০২৮৩১

উপদেষ্টা: আলহাজ্জ লায়ন খান আকতারুজ্জামান এমজেএফ

ঠিকানা : ১০৯, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কাকরাইল, ঢাকা- ১০০০।

ফোনঃ +৮৮০ ১৭২৬২০২৮৩১

ই-মেইল: dainikpujibazar@gmail.com

google.com, pub-1579532791932600, DIRECT, f08c47fec0942fa0