বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেল সপ্তাহে সূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধনে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে। ৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিনই বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ এবং বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯৬ পয়েন্ট বেশি। একই সময়ে বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএস–৩০ বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২৩০ পয়েন্টে।
লেনদেনেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৫ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।
- খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত (প্রতিদিন গড়ে ১৭৯ কোটি টাকা)।
- এর পরেই ছিল ব্যাংক খাত (১৫০ কোটি টাকা) এবং বস্ত্র খাত (১৩৯ কোটি টাকা)।
- প্রকৌশল ও খাদ্য খাতও সপ্তাহজুড়ে সক্রিয় ছিল।
খাতভিত্তিক মুনাফার চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়,
- তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১১টি কোম্পানির সবগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ায় রিটার্ন হয়েছে ১১.৬৬%।
- জীবন বীমা খাতে রিটার্ন হয়েছে ৯.৭৪%, যেখানে ১৫টির মধ্যে ১৪টির শেয়ার দর বেড়েছে।
- সিরামিক খাতে রিটার্ন হয়েছে ৭.৫৩%।
- পাট, প্রকৌশল, মুদ্রণ ও কাগজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং চামড়া খাতেও ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
- তবে সিমেন্ট খাতে দর কমেছে ২.১৯% এবং করপোরেট বন্ড খাতে দরপতন হয়েছে ০.৯৫%।
- ভ্রমণ ও অবকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, মিউচুয়াল ফান্ড, বস্ত্র এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতেও দর কমেছে।
ডিএসইর বাজার মূলধনে এসেছে বড় পরিবর্তন। সপ্তাহের ব্যবধানে মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহেই বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৩টির দাম বেড়েছে, ১২৬টির কমেছে এবং ২২টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আরও ২২টি সিকিউরিটিজে সপ্তাহজুড়ে কোনো লেনদেন হয়নি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বেড়েছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআই দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭০২ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৬৫০ পয়েন্ট। সিএসই–৩০ ও সিএসই–৫০ সূচকও বেড়ে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৮২৬ ও ১ হাজার ১৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে সিএসইতে লেনদেনে দেখা গেছে মন্দাভাব। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা আগের সপ্তাহের ১২৬ কোটি টাকার চেয়ে কম।
এক্সচেঞ্জটিতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়, যার মধ্যে ২০৬টির দাম বেড়েছে, ৯৭টির কমেছে এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
শেয়ার-বাজার
ঢাকা-স্টক-এক্সচেঞ্জ
চট্টগ্রাম-স্টক-এক্সচেঞ্জ
বিনিয়োগ