ষড়যন্ত্র মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ রয়েছে, তারা দেশকে সশস্ত্র আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার আসামি
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—
- মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন (৭৩)
- শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন (৫৫)
- মঞ্জুরুল আলম (৪৯)
- কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল (৭২)
- গোলাম মোস্তফা (৮১)
- মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৬৪)
- মো. জাকির হোসেন (৭৪)
- মো. তৌছিফুল বারী খান (৭২)
- মো. আমির হোসেন সুমন (৩৭)
- মো. আল আমিন (৪০)
- মো. নাজমুল আহসান (৩৫)
- সৈয়দ শাহেদ হাসান (৩৬)
- মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (৬৪)
- দেওয়ান মোহাম্মদ আলী (৫০)
- মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম (৬১)।
আদালতের কার্যক্রম
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান আসামিদের হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার পটভূমি
শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আড়ালে জনগণকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের আহ্বান জানান এবং অন্যদেরও উস্কানি দেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, গত ৫ আগস্ট ঘোষিত ‘মঞ্চ ৭১’ সংগঠনটির প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আড়ালে দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনগণকে প্ররোচিত করা। ওই বৈঠকে প্রায় ৭০-৮০ জন অংশ নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে উত্তেজিত হয়ে উপস্থিতরা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট স্লোগান দিতে শুরু করে। পরস্পরকে সহায়তা করে আসামিরা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হন, যা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।