কবিতা

তবুও থামবো না,
প্রিয়াংকা নিয়োগী, ভারত
ঐ গাছের পাতা সব শুকিয়ে গেছে,
পরছে নিরন্তর ঝরে।
গাছটাও শুকিয়ে যাচ্ছে শুষ্ক মাটিতে।
বাঁচাতে হবে গাছটাকে যেনতেন প্রকারে,
শুকনো গাছকে জীবন্ত করে নতুন পাতা ফলাব,
জীবন্ত রাখব বলে।
ঐ শৃঙ্গের মাথায় উঠব বলে পারা দিতে হবে ছুঁচলো পাথর,
পরিশ্রমের ঘাম ও রক্তের রঙে আঁকবে পাহাড়ের অনেক পাথর।
তবুও থামবো না মচকাব না ভাঙ্গবো না,
ক্লান্তির কাছে সপে যাবো না।
যাবো শৃঙ্গের মাথায় তাকাবো যাত্রা পথে,
নেবো অভিজ্ঞতা কুড়িয়ে,রেখো দেবো হৃদয়ের তাকে।
টিকে থাকতে হবে হাজারো পাথর ছোড়ার লক্ষ্যে,
মিথ্যে বদনাম মিথ্যে থুতু মিথ্যে প্রমাণ আসবে থামাতে,
থামা যাবে না কোনো অশুভ ক্ষণের তীরে।
যোগ্য জবাব দিতে হবে উপযুক্ত কাজের ভীড়ে।
আসতে থাকবে নানান কথা নানা অজুহাত নিয়ে,
অজুহাত ধুলিসাৎ করে চলতে হবে নিজের পথ বেয়ে।
যদি কেউ আসে ভূত বেশে,
তাড়াতে হবে চোৎরা পাতা দিয়ে।
থামা যাবে না বরফের দেশে,
আগুন জ্বেলে বরফ গলা জলে ভেলা ভাসিয়ে,
এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।
নতুন আশায় ফুল ফোটে,যত্নে তা বেশি বাড়ে।
ধৈর্য্যের গাছে কাজের ফুল ও ফল ফলে।
প্রমাণ করো তারে থামানো যাবে না আমাকে,
হুংকারে রনহুংকার বাজিয়ে থাকো একধাপ আগে।
নিজ বিদ্যুৎ দিয়ে ঝড় বৃষ্টির বিদ্যুৎ আটকে,
বিনাশ করতে হবে রুখতে আসা বিদ্যুৎ।
আটকাতে আসুক থাকুক বাঁধা দিতে,
বাঁধাকে বাঁধা দেবো ফাটকা ফাটিয়ে।
বোঝাতে হবে থামানো যাবে না থামানোর বাঁশ দিয়ে,
হার না মেনে নিজের রাস্তার মোর খুলে দিয়ে,
নতুন রাস্তা বের করে।
_____________