নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতুর কাছাকাছি ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত ছুড়ি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
বাসের সুপারভাইজার আতিকুর রহমান জানান, পরে তারা যাত্রীদের ও বাসের চালকসহ সকলের চোখ, মুখ বেঁধে ফেলে। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্তর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে চলতে থাকে। চলাচলের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশী করে মুঠোফোন, নগদ টাকা, গহনা এবং অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। তারা বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়।বাসের চালক আবেদ আলী জানান, রাতভর বাসটি নিয়ে ডাকাতরা ৪ থেকে ৫ বার টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-আশুলিয়া যাওয়া-আসা করে। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাতদল চলে যায়। পরে বাসের যাত্রীদের নিয়ে সকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় যায়।এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের সাথে কথা বলেছেন।বাসের যাত্রী বগুড়ার আদমদীঘির জুয়েল মিয়া জানান, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য নারী যাত্রীদের তল্লাশীর সময় শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে। তার চোখমুখ বাধা ছিল। রংপুরের এক বাস যাত্রী জানান, হাত-পা, চোখ-মুখ বেধে ডাকাতরা প্রত্যেক যাত্রীর দেহ কয়েকবার করে তল্লাশি করে। যার যা কিছু ছিল সব নিয়ে যায়।টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহমদ বলেন, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
www.dainikpujibazar.com
কপিরাইট © দৈনিক পুঁজিবাজার ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত