পাবনার চাটমোহরে স্থানীয় একটি কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচন ঘিরে দেখা দিয়েছে নির্বাচনী আমেজ। জনপ্রতিনিধি কিংবা সংগঠন নয়—এবার ভোট হচ্ছে কবরস্থানের ‘সভাপতি’ পদে। বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও একেবারে সত্য।
উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার, মহরমখালী ও জগতলা (আংশিক) এলাকার মানুষদের সমন্বয়ে গঠিত ‘জান্নাতুল বাকি’ কবরস্থানের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে ৭ সদস্যের নির্বাচন কমিশন, ঘোষিত হয়েছে তফসিল।
দুই প্রার্থী—আব্দুল কুদ্দুস (ছাতা মার্কা) ও শরিফুল ইসলাম (চেয়ার মার্কা)—মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জোর প্রচারণায় নেমেছেন। কবরস্থান উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁরা ঘুরছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। ৮০০ ভোটার ২৪ মে গোপন ব্যালটে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবেন কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে।
এমন ব্যতিক্রমী নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহ। জাতীয় নির্বাচনের মতোই প্রচার-আপ্যায়নে ব্যস্ত প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থেই পরিচালিত হবে এই নির্বাচন।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাস্টার জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে সভাপতির পদে নির্বাচনই একমাত্র সমাধান হয়ে ওঠে। থানার ওসির মধ্যস্থতায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত এখন পুরো এলাকাকে উৎসবমুখর করে তুলেছে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, "দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
প্রার্থীরা ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দাবি করেছেন। এলাকার মানুষও প্রথমবারের মতো এমন একটি নির্বাচনকে ঘিরে দেখছেন ভিন্নধর্মী গণতন্ত্রচর্চার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
www.dainikpujibazar.com
কপিরাইট © দৈনিক পুঁজিবাজার ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত