অনলাইন ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (৩ মে) লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. পোদ্দার বলেন, “প্রাথমিকে আবারও পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। এবার আমরা বৃত্তি পরীক্ষাও চালু করতে যাচ্ছি। দীর্ঘদিনের একটি যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের পথে।”
তিনি আরও বলেন, “শূন্যপদ পূরণসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন—বিতর্ক, দেয়ালিকা উৎসব, চিত্রাঙ্কন ও নানা প্রতিযোগিতার আয়োজনও নিয়মিত হচ্ছে।”
শিশুদের মৌলিক শিক্ষা অর্জনের ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ন্যূনতম সাক্ষরতা নিশ্চিত করা—যাতে শিশুরা মাতৃভাষায় সহজভাবে কথা বলতে, পড়তে, লিখতে ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। এ সক্ষমতা অর্জনই আমাদের সাফল্য।”
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল পর্যন্ত নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে বাছাই করে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) চালু হলে সে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায় এবং পিএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান শুরু হয়। তবে ২০২২ সালে হঠাৎ করে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৩ সালেও বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এবারের উদ্যোগকে বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
www.dainikpujibazar.com
কপিরাইট © দৈনিক পুঁজিবাজার ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত