বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেন

ক্রিকেটারদের দেখার জন্য বিমানবন্দর এবং হোটেলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ মানুষ
এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে করে দেশে ফিরেছেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটের দিকে ক্রিকেটারদের বহনকারী বিশেষ বিমানটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর বিমান থেকে নেমে টিম বাসে করে হোটেলে চলে যান ক্রিকেটাররা।
গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দল বার্বাডোজে আটকে ছিল। ঘূর্ণিঝড় বেরিলের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘূর্ণিঝড় ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ওপর বুধবার আছড়ে পড়ে। বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে তারা দেশে ফিরলেন।
এই ফ্লাইটের নাম দেয়া হয়েছিল “এআইসি২৪ডাব্লিউসি”, যা “এয়ার ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস ২৪ ওয়ার্ল্ড কাপ”-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
ক্রিকেটারদের দেখার জন্য ভোর ৪টা থেকে বিমানবন্দরের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট তারকাদের দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন তারা।
বিমানবন্দরের সামনে অপেক্ষা করতে থাকা এক সমর্থক বলেন, “আমরা গত ১৩ বছর ধরে এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছি। এই টিম বিশ্বকাপ জিতে আমাদের গর্বিত করেছে।”
বার্বাডোজ থেকে দিল্লি পৌঁছাতে বিমানটির সময় লেগেছে ১৬ ঘণ্টার মতো। ফ্লাইটে অনেকটা সময় বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা। প্রত্যেকে নানান ভঙ্গিতে ছবি ও ভিডিও তুলেছেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও বাদ ছিলেন না। বুমরাহ তো বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ছবি তুলেছেন। আর্শদীপ সিং বাবা-মার সঙ্গে ট্রফি নিয়ে ছবি তুলেছেন। বিরাট ট্রফিকে আদর করেছেন। সিরাজ পাশের আসনে তা যত্নে রেখে দিয়েছেন। এসব মুহূর্ত ধরা পড়েছে বিসিসিআইয়ের শেয়ার করা ভিডিওতে।
এদিকে, হোটেলে ক্রিকেটারদের জন্য অপেক্ষা করছিল বিশেষ কেক। তিন স্তরের এই কেকের ওপর ছিল বিশ্বকাপের রেপ্লিকা।
হোটেলের সামনেও প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন ক্রিকেট তারকাদের দেখার জন্য। ক্রিকেটারদের বাস ঢোকার সময় তারাও আনন্দে চিৎকার করতে শুরু করেন। বিশ্বকাপের ট্রফিটা উপরে তুলে হোটেলে প্রবেশ করেন রোহিত। ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের স্ত্রীরাও ছিলেন। হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন তারা।
ক্রিকেটাররা আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন। তারপর তারা যাবেন মুম্বাইতে। সেখানে ছাদখোলা দোতলা বাসে করে মুম্বাইয়ে বিশেষ শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। এই বাস প্যারেড শুরু হওয়ার কথা বিকেল ৫টায়। বিখ্যাত নরিম্যান পয়েন্ট থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাবেন ক্রিকেটাররা। তারপর ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাদের স্টেডিয়ামে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকেও এভাবেই খোলা বাসে করে ঘোরানো হয়েছিল।