
প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৫, ২০২৫, ২:৫০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ৩০, ২০২৫, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বড় পরিবর্তন, নারী কোটা বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় বড় পরিবর্তন এনেছে সরকার। নারীদের জন্য পূর্বনির্ধারিত বিশেষ কোটা বাতিল করে নতুনভাবে ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে আলাদা শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করে জানায়, এ বিধিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নতুন বিধিমালার মূল দিকসমূহ
- নিয়োগের ধরন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩% পদ মেধাভিত্তিক হবে।
- কোটা: ৭% পদ সংরক্ষিত থাকবে— মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১%, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী ১%। যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্য পদ মেধার ভিত্তিতে পূরণ হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীর স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে, দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ। কোনো স্তরে তৃতীয় শ্রেণি বা সমমান গ্রহণযোগ্য নয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
- বিষয়ভিত্তিক পদ: বিজ্ঞানে স্নাতকদের জন্য ২০% এবং অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকদের জন্য ৮০% পদ বরাদ্দ থাকবে।
- পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে পদোন্নতির জন্য ন্যূনতম ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ও মৌলিক প্রশিক্ষণ লাগবে।
- ভৌগোলিক ভিত্তি: নিয়োগ উপজেলা ও ক্ষেত্রবিশেষে থানাভিত্তিকভাবে হবে।
পূর্বের বিধিমালা রহিত
২০১৯ সালের বিধিমালায় নারীদের জন্য ৬০%, পুরুষদের জন্য ২০% এবং পোষ্য কোটায় ২০% পদ সংরক্ষিত ছিল। নতুন বিধিমালা কার্যকর হওয়ায় সেই বিধিমালা আর বহাল থাকছে না।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারী কোটার বিলোপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের লিঙ্গ ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার জন্য আলাদা পদ সৃষ্টি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
www.dainikpujibazar.com
কপিরাইট © দৈনিক পুঁজিবাজার ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত