ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব ও মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। শনিবার এ হামলার সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বাজতে থাকে। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হওয়ার পরই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। ধ্বংসাবশেষ থেকেও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে হুতি বিদ্রোহীরা প্রায়ই ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে থাকে। পাল্টা জবাবে ইসরায়েলও ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একের পর এক হামলায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটির একটি বহুতল আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ভবনটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় চালানো একাধিক হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গতকাল শুক্রবার একটি ঘোষণা অনুমোদন করেছে। সৌদি আরব ও ফ্রান্সের উদ্যোগে জুলাইয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ভিত্তিতে প্রণীত সাত পৃষ্ঠার ওই ঘোষণায় ১৪২টি দেশ পক্ষে, ১০টি বিপক্ষে এবং ১২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

ঘোষণায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ, অবরোধ ও খাদ্যসঙ্কট সৃষ্টিকে ‘অমানবিক’ হিসেবে উল্লেখ করে উভয় পক্ষের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়। এতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট ও সময়সীমাবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।