গাজামুখী মানবিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা-তে ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকারকর্মীদের আটক করার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। মালয়েশিয়ার পর এবার তুরস্কও ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজ থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে। এ সময় সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে নৌযানে থাকা দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। পরে তাদের ইসরায়েলের একটি নৌবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার দাবি, অন্তত ১৩টি জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েল।
এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গাজায় খাদ্য ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বাধা দিয়ে ইসরায়েল মানবতার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।” ফ্লোটিলার আটক হওয়া জাহাজগুলোর একটিতে ১২ জন মালয়েশীয় নাগরিকও রয়েছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এই হামলাকে “ফ্যাসিবাদী ও সামরিকতাবাদী নীতির বহিঃপ্রকাশ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে আটক হওয়া তুর্কি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ঘটনাটিকে শান্তিপূর্ণ মানবিক উদ্যোগের ওপর হামলা আখ্যা দিয়ে বলেন, ফ্লোটিলার সদস্যদের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ফ্লোটিলায় থাকা আইরিশ নাগরিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি সদস্য এমা ফুরো বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নিজেও ফ্লোটিলার একটি জাহাজে অবস্থান করছেন। এমা বলেন, “ইসরায়েলকে অবরুদ্ধ করো, বৈশ্বিক অর্থনীতি পঙ্গু করে দাও, গাজার অবরোধ ও গণহত্যা শেষ করো।”
এ ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্পেন, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক ও গ্রিসের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার রাস্তায়ও নেমে আসে মানুষ। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে আটককৃতদের মুক্তি দাবি করা হয়। আটক জাহাজগুলোর একটিতে রয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতা সেলেস্ট ফিয়েরো।
আঙ্কারা, মেক্সিকো সিটি, বোগোতা এবং মাদ্রিদেও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকারকর্মী আটকের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন। তারা গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর দাবিও জানান।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও তাদের মানবিক মিশন থেমে থাকবে না।
📌 তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা ও রয়টার্স📰 গাজামুখী মানবিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়
গাজামুখী মানবিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা-তে ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকারকর্মীদের আটক করার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। মালয়েশিয়ার পর এবার তুরস্কও ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজ থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে। এ সময় সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে নৌযানে থাকা দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। পরে তাদের ইসরায়েলের একটি নৌবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার দাবি, অন্তত ১৩টি জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েল।
এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গাজায় খাদ্য ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বাধা দিয়ে ইসরায়েল মানবতার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।” ফ্লোটিলার আটক হওয়া জাহাজগুলোর একটিতে ১২ জন মালয়েশীয় নাগরিকও রয়েছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এই হামলাকে “ফ্যাসিবাদী ও সামরিকতাবাদী নীতির বহিঃপ্রকাশ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে আটক হওয়া তুর্কি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ঘটনাটিকে শান্তিপূর্ণ মানবিক উদ্যোগের ওপর হামলা আখ্যা দিয়ে বলেন, ফ্লোটিলার সদস্যদের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ফ্লোটিলায় থাকা আইরিশ নাগরিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি সদস্য এমা ফুরো বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নিজেও ফ্লোটিলার একটি জাহাজে অবস্থান করছেন। এমা বলেন, “ইসরায়েলকে অবরুদ্ধ করো, বৈশ্বিক অর্থনীতি পঙ্গু করে দাও, গাজার অবরোধ ও গণহত্যা শেষ করো।”
এ ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্পেন, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক ও গ্রিসের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার রাস্তায়ও নেমে আসে মানুষ। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে আটককৃতদের মুক্তি দাবি করা হয়। আটক জাহাজগুলোর একটিতে রয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতা সেলেস্ট ফিয়েরো।
আঙ্কারা, মেক্সিকো সিটি, বোগোতা এবং মাদ্রিদেও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকারকর্মী আটকের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন। তারা গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর দাবিও জানান।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও তাদের মানবিক মিশন থেমে থাকবে না।
📌 তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা ও রয়টার্স
www.dainikpujibazar.com
কপিরাইট © দৈনিক পুঁজিবাজার ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত