রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনাম:
সংবিধান বদলের অধিকার কারো নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক উত্থান-পতনের মিশ্র প্রবণতায় শেষ হলো বিদায়ী সপ্তাহের শেয়ারবাজার লেনদেন এনভয় টেক্সটাইলসকে এডিবির ৩০ মিলিয়ন ডলারের সাসটেইনেবল-লিঙ্কড ঋণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, উত্তাল সাগর কোম্পানীগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের চারজন দগ্ধ ইসলাম সহজ-সরল জীবনযাপনের শিক্ষা দেয় গাজামুখী মানবিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্সের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত

সর্বশেষ আপডেট:

প্রকাশ: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইসলামে জিহাদ ও হালাল উপার্জনের গুরুত্ব

আরবি শব্দ ‘জিহাদ’ অর্থ হলো কোনো কাজের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা। যারা জিহাদ করেন, তাদের বলা হয় মুজাহিদ। পারিভাষিক অর্থে জিহাদ হলো আল্লাহ ও তাঁর রসুলের (সা.) দীনের বিরুদ্ধে আঘাত এলে তার প্রতিবাদে সাধ্য অনুযায়ী ঝাঁপিয়ে পড়া। কখনও সশস্ত্র লড়াই, আবার কখনও নিরস্ত্র প্রতিরোধ—সবই জিহাদের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে এ সংগ্রামকে বলা হয়েছে ‘ফি সাবিলিল্লাহ’

রসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে যারা জিহাদে অংশ নিতেন না, তাদের মুনাফিক মনে করা হতো। তবে আশ্চর্যের বিষয়, নবীজি (সা.) হালাল উপার্জনকেও জিহাদের মর্যাদায় তুলনা করেছেন। সাহাবিরা এ কথায় বিস্মিত হলেও আজকের বাস্তবতায় বিষয়টি গভীর অর্থ বহন করে। কারণ, শতভাগ হালাল উপার্জন করা এখন বিরল হয়ে পড়েছে।

বিদগ্ধ আলেম ড. ইউসুফ আল কারজাভি তাঁর ‘মাজালাতুল ইবাদাতি ফিল ইসলাম’ গ্রন্থে লিখেছেন, ইসলামে পরিবারের জন্য হালাল রিজিক উপার্জনকে উচ্চস্তরের ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, যদি কেউ পরিবারের জন্য উপার্জন করে, তবে সে আল্লাহর পথেই রয়েছে; এমনকি হালাল জীবিকার জন্য ব্যস্ত থাকলেও তা জিহাদের সমতুল্য। তবে যদি গর্ব বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্য থাকে, তবে তা শয়তানের পথে গণ্য হবে।

পবিত্র কোরআনেও হালাল রিজিক অনুসন্ধান ও জিহাদকে পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে (সুরা মুজাম্মিল, আয়াত ২০)। অর্থাৎ জীবিকা নির্বাহের প্রচেষ্টা ইবাদত হতে পারে, তবে এর জন্য কিছু শর্ত মানতে হয়—

  1. উপার্জন যেন বৈধ ও শরিয়তসম্মত হয়।
  2. নিয়ত হতে হবে ইবাদতের, অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা।
  3. দায়িত্ব আন্তরিকতা ও পরিপূর্ণতার সঙ্গে পালন করা।
  4. কোনো অন্যায়, প্রতারণা বা খেয়ানত না করা।
  5. কাজ যেন ফরজ ইবাদত থেকে বিরত না রাখে।

হাদিসে এসেছে—“আল্লাহতায়ালা প্রতিটি কাজে উৎকৃষ্টতা (এহসান) করতে নির্দেশ দিয়েছেন।” কাজেই পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা ফাঁকি দেওয়া গুনাহ হিসেবে গণ্য হবে।

লেখক : প্রিন্সিপাল, সেইফ এডুকেশন ইনস্টিটিউট

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সোয়েব মজুমদার

মোবাইল: +৮৮০ ১৭২৬ ২০২৮৩১

উপদেষ্টা: আলহাজ্জ লায়ন খান আকতারুজ্জামান এমজেএফ

ঠিকানা : ১০৯, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কাকরাইল, ঢাকা- ১০০০।

ফোনঃ +৮৮০ ১৭২৬২০২৮৩১

ই-মেইল: dainikpujibazar@gmail.com

google.com, pub-1579532791932600, DIRECT, f08c47fec0942fa0